জীবন থেকে নেওয়া কয়েকটা ছোট ছোট শিক্ষা যেগুলো আমি মনে রাখতে চাই বলে মাঝে মাঝে পোস্ট করি। এটা তেমনি একটা পোস্ট
লেসন – 1
বড়ো কিছুর প্রত্যাশা করে ছোট ছোট প্রাপ্তির সুযোগ বা সুখ-আনন্দ কে মাটি করে ফেলা উচিৎ নয়। ভবিষ্যতে হাতি-ঘোড়া হবে এই আশায় বর্তমানের ছোট ছোট সুযোগ গুলোকে হাত ছাড়া করতে থাকলে একটা সময় পর গিয়ে দেখবেন ছোট ছোট না পাওয়ার যোগফল এত বড় দাঁড়িয়েছে যে হাতি-ঘোড়া প্রাপ্তির সুখ বিষাদে পরিণত হবে। তখন যা পান নি তাও হারাবেন, যা পেলেন তা পেয়েও না পাওয়া থেকে গেলো…।
তাই জীবনের ছোট-খাটো আনন্দের সুযোগ গুলোকে হাত ছাড়া করবেন না…। সুযোগ থাকলে লুফে নিন।
এবছর বসন্তের শুরুতে বান্দরবন যাওয়াটা অনেক মিস করবো! 🙁 একা হলেও যাওয়া উচিৎ ছিল আমার!
লেসন – 2
নিজের সুখ বা আনন্দ কে অন্যের সাথে কানেক্টেড করে ফেলবেন না। এই আশা কখনো করা উচিৎ নয় যে আমার বন্ধু বা ভাই বা কাছের কাউকে নিয়ে আমি আমার অমুক ভালো লাগার কাজটা করবো। কারণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি যার জন্য অপেক্ষায় থাকবেন সে আপনার অপেক্ষা নাও করতে পারে। কারণ প্রত্যেকের জীবন আলাদা, চাওয়া পাওয়া গুলো আলাদা, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব গুলো ভিন্ন ভিন্ন। আপনার কাছে যাকে নিয়ে কোন কিছু করতে পারাটা স্বপ্ন সত্যি হবার মত, হয়তো তার কাছে সেটা তুচ্ছ! তাই নিজের সুখ বা আনন্দ নিজের মাঝেই খুঁজে নিন। কখনোই অন্য কারো ইচ্ছার ওপর নিজের আনন্দের কন্ট্রোল দিবেন না। সে যত কাছের মানুষ হোক না কেন!
লেসন – 3
সেন্স অফ সেলফ রেস্পেক্ট ব্যাক্তিভেদে আলাদা হয়। পার্সোনালিটি সবার এক নয়। আপনার কাছে যেটা চরম অপমানের, হয়তো আরেকজনের কাছে সেটা হাসি-ঠাট্টার ব্যাপার। তাই আপনার সেন্স অফ সেলফ রেস্পেক্ট যদি high হয় তাহলে যাদের সেন্স অফ সেলফ রেস্পেক্ট low তাদের সাথে ব্যাক্তি জীবনে চলাফেরা কমিয়ে দিন। এতে আপনি হয়তো অনাকাঙ্ক্ষিত অপমানের হাত থেকে বাঁচবেন। কারন আপনি যে কথায় বা কাজে চরম অপমানিত বোধ করছেন, যার সেলফ রেস্পেক্ট বোধ কম সে হয়তো সেই একই কথা বা কাজকে পাত্তায় দিবে না, গায়ে মাখানোর প্রয়োজনীয়তাও বোধ করবে না।
লেসন – 4
গম্ভীর হয়ে থাকাটা কখনোই সুন্দর ব্যাক্তিত্বের পরিচয় নয়। কিন্তু ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষগুলো একটু গম্ভীর হয়। কারণ তাদেরকে তাদের মত করে বোঝার ক্ষমতা কেউ রাখে না। তাই এরকম মানুষগুলো ভেতর থেকে একা হয় বলেই হয়তো ধীরে ধীরে গম্ভীর হয়ে পরে…। এমন মানুষদের খুব দ্রুত একা থাকতে পারা, একা চলতে পারা, এবং নিজের মনের ভেতরের নীরবতার মাঝে আনন্দকে খুঁজে পাওয়ার বিশেষ গুন রপ্ত করা উচিৎ। কারণ এই অন্তরচ্ছোল প্রাণ গুলো চিরিদিনি শত বন্ধুর মাঝেও আল্টিমেটলি একা হয়ে পড়বে।
একা চলতে পারাটা সেলফ ডিপেন্ডেন্সির কঠিনতম অধ্যায় বটে!
তবে নীরবতা ভাবতে শেখায়, গভীর ভাবনা সৃষ্টিশীল হতে শেখায়…।