আমি নরমালি সফট ড্রিংকস তেমন পছন্দ করিনা। কিন্তু সেলুনে দাড়ি সাইজ করতে বসে কাজ ছিলনা তাই বসে বসে বিশ্ব সেরা ব্র্যান্ড গুলোর মার্কেটিং কাম্পেইং গুলো ভাবছিলাম এবং ব্রেইন storming করছিলাম। আমি অলস সময়ে এগুলোই ভাবতে থাকি এবং বিজনেস এর মার্কেটিং প্ল্যান সাজাই। (ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে 😛😛😛)

ভাবতে ভাবতে কোকাকোলার নিউরো মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি মনে পড়লো, কিভাবে তারা বোতল খোলার শব্দের সাথে আমাদের ব্রেইন কে কোক পান করার সিগন্যাল দিয়ে সেল বাড়ায়। এটা ভাবতে গিয়ে মনে হলো সকালে খিচুড়ি খেয়ে আসছি, একটু গ্যাস এর চাপ দিচ্ছে এক দুই ঢোক কোক খেলে ভালো লাগতো। পরে গেলাম ফানেলে 😂😂🤣 (ঢোক গেলার তৃপ্তির শব্দের সাথে 7up এর নিউরো মার্কেটিং কানেকটেড। তারা টিভি বিজ্ঞাপনে এই শব্দ ইউজ করে। খেয়াল করে দেখবেন 😉)

সেলুন থেকে বের হয়ে দোকানে বললাম 250 ml কোক দেন। এই বলতেই সাজিয়ে রাখা Mojo এর দিকে চোখ পরতেই লেখা দেখলাম “We support Palestine 🇵🇸” এই লেখা দেখা মাত্র মাথার মধ্যে ছোট ছোট ক্ষুধার্ত মাসুম বাচ্চাদের ছবি ভেসে উঠলো। মাইক্রো সেকেন্ডের মধ্য ডিসিশন চেঞ্জ! নিজের অজান্তেই বলে ফেললাম। থাক কোক লাগবেনা, মজো দেন!!! 🙂🙂🙂

বোঝেন, জাস্ট একটা লাইন কিভাবে বায়িং ডিসিশন কে প্রভাবিত করতে পারে! বোতল নিয়ে QR কোড স্ক্যান করে দেখলাম তারা একটা পেইজ বানাইছে সেখান দেওয়া এক বোতল কিনলে ১ টাকা তারা ফিলিস্তিন এ দান করবে। মুহুর্তে আমার ভালো লাগা কয়েকগুণ বেড়ে গেলো। ডেইলি কালেকশন, টোটাল কালেকশন দেখা যাচ্ছে লাইভ।

এখানে Mojo সোশ্যাল সিম্পথি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি এপ্লাই করছে। মানুষের সহানুভূতিকে কাজে লাগাইছে সেই সাথে সোশ্যাল একটিভিটি তেও অংশ নিয়ে ফেললো। এটাও একধরনের নিউরো মার্কেটিং। (নিউরো মার্কেটিং এর মূল কনসেপ্ট ই হলো কাস্টমারের ব্রেইনে ঢুকে বায়িং ডিসিশন কে চেঞ্জ করা) 😉😉😉

আপনি খুঁজে বের করুন, আপনার বিজনেসের এমন ছোট ছোট কোন জিনিসটা আছে যেগুলো ব্র্যান্ডিং এ ইউজ করতে পারবেন। এবং ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে কাস্টমারের ব্রেইনে বড়ো ইম্প্যাক্ট তৈরি করতে পারবেন। 😇😇😇

সেই সাথে এই পোস্ট টা শেয়ার করে আপনিও Mojo এর এত ভালো উদ্যোগকে ছড়িয়ে দিন (হালকা করে নিজের নিউরো মার্কেটিং ও করে ফেললাম 😁😁😁)

Think Like an Entrepreneur, Happy Marketing!

Prequel Story: সেলুন থেকে অফিসে যাবার পথে এই পোস্ট টা লিখবো বলো ভাবলাম। ইনস্ট্যান্ট ফোন বের করে রাস্তায় দাড়িয়েই লেখা শুরু করছি। অর্ধেক লেখা হতেই আমার পার্টনার Rabiul Islam অফিস থেকে বাড়ি যাচ্ছিল লাঞ্চ ব্রেকে। সে আমাকে রাস্তায় এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক। জিজ্ঞেস করতে ঘটনা খুলে বললাম। তখন সে আমাকে ঝাড়ি দিয়ে বললো এই পোস্টটা তো তুমি অফিসে গিয়েই লিখলেই হতো। এখানে দাড়িয়ে লেখার কারণ কি।

আমি উত্তর দিলাম: আমি অফিসে যাওয়া মাত্র প্রচুর কাজ আমাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরবে এবং আমার ইমোশন টা চেঞ্জ হয়ে যাবে। চাইলেও তখন আমি আমার আর মন থেকে নিজের সেরাটা দিয়ে লিখতে পারবো না। তাই মনের সবটুকু ভালো লাগা থেকে এখানেই লেখতে শুরু করেছি।

আপনার জীবনে আপনি যেই কাজ গুলো ভালো লাগা থেকে করবেন, ইমোশনাল ব্রেইন থেকে করবেন, দেখবেন সেই কাজ গুলো জীবনের সেরা কাজ হবে। লজিক্যাল ব্রেন দিয়ে যে কাজ গুলো করবেন সেগুলো সব সময় সেরা নাও হতে পারে।

তাই জীবনে যেটা করবেন, সেরাটা দিবেন। সফলতা আসবে। 🙂🙂🙂


Riham
Riham

আমি একজন সাধারণ ভাবনার সাধারণ ছেলে, যে গল্প বলতে ও গল্প শুনতে ভালোবাসে। কর্ম জীবনে যতটা এগিয়েছি সেটা পালনকর্তা দয়া ও ভালোবাসায়। একেবারেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা আমার। নিজের অবস্থানটা নিজে গড়িয়েছি বলেই পরিচয় দিই, তবে তা সঠিক নয়। উঠে আসার পেছনে অনেক মানুষের হাত আছে, অনেক গুলো অন্তরের দোয়া আছে আর স্রিষ্টিকর্তার দয়া আছে। গুরতর অসুস্থতা এবং এক্সিডেন্ট এ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি কয়েকবার। যে দিন গুলো কাটাচ্ছি সেগুলো বোনাস সময়। তাই বেশী ভাবনা চিন্তার তোয়াক্কা না করে মন চাইলেই বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পরি পাহাড়ের ডাকে সারা দিতে, ঝর্নার সাথে মাখামাখি করতে, অথবা ভাবনা গুলোকে নোনাজলে প্রশান্ত করতে। ছবি তুলতে ভালোবাসি, অবসরে অথবা গভীর রাতে একা বসে ভাবতে ভালোবাসি, প্রকৃতি দেখতে এবং বোঝার চেষ্টা করতে ভালোবাসি, গান শুনতে ও গলা মেলাতে ভালোবাসি। টিভি সিরিজ আর মুভি দেখার নেশা আছে কিছুটা। বাকি পরিচয়টা না হয় গল্পে গল্পে দেওয়া যাবে। 😊😊😊

Leave a Reply