শরৎ যে শুরু হয়ে গেছে সেই খবর জানাতে ইতিমধ্যই পুঞ্জ পুঞ্জ সাদা, কালো মেঘের দল জমা হয়ে গেছে নীলিমার বুকে। বসন্তের মাদকতার চেয়েও শরৎ এর এই শুভ্র প্রশান্তি, আদ্রতা মাখানো হিমেল বাতাস আর মেঘের ফাঁকে রোদ, রংধনুর এই ছলা-কলা আমার মনকে বেশী ছুঁয়ে যায়। প্রকৃতির এই বৈচিত্রতা আল্লাহর এক মহান সৃষ্টি। আলহাদুলিল্লাহ! শরৎ তোমায় সুস্বাগতম। আগামী দুইমাস এভাবেই মনোমুগ্ধকর প্রশান্তি আর শুভ্রতা ছড়িয়ে যেও।
শরৎ এর আকাশের এই রূপ শহুরে বিকেল বারান্দা থেকে মন উদাস করলেও এখন আর তালের রসের পিঠার ঘ্রাণ বাতাসে ভাসেনা। যান্ত্রিক জীবনে পিষ্ট হয়ে গেছে তালপাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুঁকে থাকা নিপুণ শিল্পে গড়া বাবুই পাখির বাসা গুলোও। হাইওয়ের বুকচিরে দাড়িয়ে থাকা বকুল গাছগুলোর প্রশাখায় কিছু চড়ুই পাখির ঠাই হলেও বিলিন হয়ে গেছে শিল্পী বাবুই এর সংসার। সেলফোনের টাওয়ার তরঙ্গে চড়ুই গুলোর অস্তিত্বও আজ প্রায় বিপন্ন। 🙁
তবুও শরতের আকাশের এই মুগ্ধতায় আমি হারিয়ে যাই। সপ্ন দেখি একদিন শহরের এই দালানের চড়ুই বাসা ছেড়ে আমারও এক বাবুই পাখির শান্তির নীড় হবে…। এই স্বপ্ন গুলোর বাস্তবায়ন দেখবো বলেই এখনো বেঁচে থাকার আনন্দ পাই, অনুভূতি গুলো আজও শরতের আকাশে ভেসে বেড়ায় শুভ্র মেঘ হয়ে। নিষ্পাপ, সাদা, শুভ্র, রঙিন, প্রশান্ত সে মেঘ…। আমার স্বপ্নের মেঘ…। 🙂
শরৎকাল আপনার কেমন লাগে? কমেন্ট করে জানাবেন।